মধুপুর মোবাইল টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড টেলিকম অ্যাসোসিয়েশন
নামঃ
এই সংগঠনের নাম হবে “মধুপুর মোবাইল টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড টেলিকম অ্যাসোসিয়েশন”।
প্রকৃতি বা ধরনঃ
একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, পেশাভিত্তিক এবং কল্যানমুলক সংগঠন।
আমাদের লক্ষ্যসমূহঃ
সদস্যদের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ, সম্মানজনক, স্বচ্ছ ও সহানুভূতিশীল কমিউনিটি গড়ে তোলা—যেখানে পেশাগত উন্নয়ন, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
প্রত্যেক সদস্যকে একটি ইউনিক ID কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদানের মাধ্যমে পেশাগত স্বীকৃতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি।
সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা বজায় রাখতে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
গ্রাহক বা তৃতীয় কোন পক্ষ দ্বারা কোনভাবে হয়রানির স্বীকার এবং পেশী শক্তির প্রয়োগ প্রতিহত করে সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ সমাধানে পৌছাতে সহযোগিতা করা।
গ্রাহককে সঠিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষন, পরামর্শ এবং সহযোগিতা প্রদান।
সদস্যদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করা হবে, যাতে অসুস্থতা, বিপদ কিংবা মৃত্যুজনিত প্রয়োজনে সাধ্যমতো সহায়তা দেওয়া যায়।
কোনো সদস্য বা তাঁর পরিবারের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে, এসোসিয়েশনকে অবহিত করে দ্রুত সবার সহায়তা পাওয়ার একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে হারানো ডিভাইস ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
বাৎসরিক আনন্দ ভ্রমনের ব্যাবস্থা করা।
আমাদের অ্যাসোসিয়েশন একটি সমন্বিত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করবে, যেখানে প্রত্যেক সদস্যের বর্তমান কর্ম-অবস্থা নিবন্ধিত থাকবে। দোকান বা প্রতিষ্ঠানে যদি টেকনেশিয়ান প্রয়োজন হয়, তবে অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সহজেই জানা যাবে কোন সদস্য বর্তমানে কাজের জন্য উপলব্ধ। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে:
কর্মী খোঁজার প্রক্রিয়া হবে আরও দ্রুত ও কার্যকর।
সদস্যদের দক্ষতা ও অবস্থান অনুযায়ী বাছাইয়ের সুযোগ থাকবে।
একে অপরকে সাহায্য করার মনোভাব তৈরি হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ গড়ে উঠবে।
এই উদ্যোগ আমাদের পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববোধকে দৃঢ় করবে এবং কাজের সুযোগ ও প্রয়োজনকে একত্রে সমাধানে সহায়তা করবে।
উপদেষ্টা পরিষদঃ
সংগঠনের সার্বিক উন্নয়ন ও সুশৃঙ্খল পরিচালনার লক্ষ্যে সদস্যপদের বাইরে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। এই পরিষদ মূলত সংগঠনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, দিকনির্দেশনা এবং সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করবে। তারা সংগঠনের নীতি নির্ধারণে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেবেন না, তবে অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে সংগঠনকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে অনুপ্রেরণা জোগাবেন।
উদ্দোক্তা কমিটিঃ
প্রতিষ্ঠাকালীন একটি সীমিত সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠন করা হবে।
এই কমিটিতে কখনোই নতুন কোন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবে না।
তাদের হাতে থাকবে পুনর্বিন্যাসের কর্তৃত্ব, তবে তারা দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করবেন না।
কার্যকরী পরিষদঃ
১ জন সভাপতি, ২ জন সহ-সভাপতি, ১ জন সাধারন সম্পাদক, ২ জন সহ-সাধারন সম্পাদক, ১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন কোষাধ্যক্ষ, ১ জন দপ্তর সম্পাদক, ১ জন প্রচার সম্পাদক, ১ জন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ৮ জন কার্যকরী সদস্যের সমন্বয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি সংগঠিত।
সদস্যপদঃ
সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বিশ্বাসী, সংগঠন ঘোষিত নীতিমালায় অঙ্গীকারবদ্ধ টেলিকম ভিত্তিক এক্সেসরিজ বিক্রেতা, স্পেয়ার পার্টস্ বিক্রেতা এবং টেকনেশিয়ান ব্যক্তিরাই সদস্য হতে পারবেন।
সদস্য হতে আবেদনপত্র পূরণ, ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি, ১ কপি ভোটার আইডি বা জন্ম সনদের ফটোকপি, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ১ কপি বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি, নির্ধারিত ভর্তি ফি ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। কোন যৌক্তিক কারনে বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি জমা দিতে ব্যর্থ হলে কমপক্ষে ক্যামেরায় ধারনকৃত ছবি কিংবা নির্বাহী কমিটির মাধ্যমে সরেজমিনে যাচাই করা হবে।
সংগঠনের কোনো সদস্য যদি অনিয়ম, অশোভন বা অপেশাদার আচরণ করেন, অথবা গঠনতন্ত্র, নীতিমালা ও নৈতিকতা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত অথবা সম্পূর্ণভাবে বাতিল হতে পারে। অভিযুক্ত সদস্য চাইলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে লিখিতভাবে আপিল করার সুযোগ পাবেন, যা নির্বাহী সভায় পর্যালোচনা করা হবে।
তহবিল গঠনঃ
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ আর্থিক কাঠামো গঠন করা আবশ্যক। এই তহবিল নিম্নলিখিত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে:
সদস্য ভর্তি ফি : ১০০০ টাকা
প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত সদস্য ভর্তি ফি: ৫০০ টাকা, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির সময় এককালীন ফি। এই ফি সংগঠনের আনুষঙ্গিক খরচ, সদস্য তথ্যভান্ডার, ও পরিচয়পত্র প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হবে।
মাসিক চাঁদা : ১০০ টাকা
সক্রিয় সদস্যদের জন্য মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত চাঁদা।
সংগঠনের নিয়মিত কার্যক্রম, সভা, প্রশিক্ষণ, ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহে ব্যবহৃত হবে।
অনুদান
ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত স্বেচ্ছা অনুদান গ্রহণযোগ্য।
সরকারী বা বেসরকারী অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে সংগঠনের নীতিমালা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
শুভাকাঙ্খী দান
সংগঠনের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রমে আগ্রহী শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করা যাবে।
এই দান হতে পারে এককালীন বা পুনরাবৃত্ত।
স্পন্সরশীপ
কর্পোরেট বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্পন্সরশীপ গ্রহণযোগ্য, তবে তা সংগঠনের নীতিগত অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
স্পন্সরশীপের ক্ষেত্রে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করা আবশ্যক।
আর্থিক হিসাব সংরক্ষণ ও নিরাপত্তাঃ
সংগঠনের সকল আয় ও ব্যয়ের হিসাব নির্ভুলভাবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথাযথ হিসাবপত্র, রসিদ, ভাউচার ও ইনভয়েস সংরক্ষণ করা হবে।
হিসাব পরিচালনার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি বা সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে যা স্বচ্ছতা এবং রিপোর্ট তৈরিতে সহায়ক হবে।
সকল আর্থিক নথি ও তথ্য নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা হবে এবং প্রয়োজনে ব্যাকআপ রাখা হবে।
সংগঠনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে সদস্যদের কাছে নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
যৌথ স্বাক্ষরভিত্তিক ব্যাংক হিসাবঃ
সংগঠনের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সংগঠনের নামে একটি যৌথ স্বাক্ষরভিত্তিক ব্যাংক হিসাব খোলা হবে। উক্ত হিসাব পরিচালনার জন্য কোষাধ্যক্ষসহ তিনজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোনীত হবেন। এই হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুইজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর আবশ্যক থাকবে।
কার্যালয়ঃ
কার্যক্রম পরিচালনায় ধারাবাহিকতা ও সংগঠনের কাঠামোগত কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে, মধুপুর পৌরসভার অধীনস্থ একটি সুনির্দিষ্ট স্থানে স্থায়ী বা অস্থায়ী একটি কার্যালয় গঠন করা হবে। প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে “মোবাইল কেয়ার” থেকে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।
সভাঃ
প্রয়োজন অনুযায়ী সাধারণ কিংবা জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বার্ষিক সাধারণ সভা বছরে অন্তত ১বার অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে।
মেয়াদকালঃ
কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ হবে ৩ বছর।
গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ
সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যে কোন ধরনের পরিবর্তন উদ্দোক্তা কমিটির উদ্যোগ ও নেতৃত্বের মাধ্যমে, প্রয়োজন সাপেক্ষে অর্থাৎ যখন পরিস্থিতি বা প্রয়োজন সৃষ্টি হবে, তখন গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের চিন্তা করা যেতে পারে। এটি নিয়মিত নয়, বরং প্রয়োজন অনুযায়ী হবে এবং সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হবে। এটি একটি গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক পদ্ধতি, যা সংগঠনকে সময় অনুযায়ী পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই হতে সাহায্য করে।